অন্ধকারে আলো জ্বেলে, স্বপ্ন বুনেন যিনি,
মা ও শিশু হাসাপাতালে তিনি আলোর বীণ।
লায়ন ড. সানাউল্লাহ, প্রতিশ্রুতির দীপ্ত নাম, নেতৃত্বের ছোঁয়ায় গড়েন উন্নয়নের ঠিকানা থাম।
স্বচ্ছতা তাঁর নীতি, কর্মে আনে প্রাণ,মানবতার সেবায় তিনি অটল এক মহান। ভবিষ্যতের দিশারী, যিনি আশা বুনে,মা ও শিশু হাসাপাতাল আজ তাঁর হাতের গুণে।সানাউল্লাহ সাহেব – এক অনন্য প্রাণপুরুষ, যার কর্মময় জীবন ও চিন্তার গভীরতা মানবতার এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত। তাঁকে আমি চিনি বহু বছর ধরে, বহু পরিচয়ে। সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ, মানুষ গড়ার কারিগর, এবং দেশপ্রেমিক – এই সবকটি পরিচয়ই যেন তাঁর জীবনের বহুমুখী অবদানের প্রকাশ। তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি এক চলমান প্রতিষ্ঠান। তাঁর হাত ধরে অসংখ্য মানুষ আলো দেখেছে, অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেয়েছে নতুন দিশা। বাংলা টিভির টকশো চট্টগ্রাম সংলাপ-এ তিনি আমার আমন্ত্রণে বহুবার অংশ নিয়েছেন। তাঁর উপস্থিতি সেই আলোচনা গুলোকে করে তুলেছে গভীরতর, প্রাসঙ্গিক এবং জীবনঘনিষ্ঠ। তাঁর মেরণ সান দিয়ে গড়ে তোলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আজ একেকটি মডেল, যেখানে বিদ্যাশিক্ষা শুধু পরীক্ষার ফলাফলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবন গড়ার ভিত্তি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার এক নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে শৃঙ্খলা, মূল্যবোধ এবং জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা মূর্ত হয়ে ওঠে।
সানাউল্লাহ সাহেবের আরেকটি মহৎ উদ্যোগ হল মা ও শিশু হাসপাতাল। নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে তিনি এই হাসপাতালকে সেবার এক অনন্য মডেলে পরিণত করেছেন। তাঁর মতো মানুষের হাতেই এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো আরও এগিয়ে যেতে পারে, আরও মানুষের জীবনে সুরক্ষা ও সেবা পৌঁছে দিতে পারে। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব তাঁর আরেকটি অনবদ্য সৃষ্টি। এই ক্লাবকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে তিনি দিয়েছেন অগণিত সময়, শ্রম এবং চিন্তা। তাঁর লেখনী, তাঁর চিন্তার গভীরতা, এবং তাঁর কর্মস্পৃহা সবকিছু মিলিয়ে তিনি এক মহীরুহ, যার শিকড় ছড়িয়ে আছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। তাঁর জীবন ও অবদান নিয়ে লিখতে গেলে তা যেন এক মহাকাব্যে রূপ নেয়। তিনি সেই মানুষ, যাঁর স্বপ্ন ও সাধনার পথে আমরা খুঁজে পাই এক নতুন বাংলাদেশের ছবি। সমাজের প্রতিটি কোণে তাঁর মতো মানুষের প্রয়োজন। সানাউল্লাহ সাহেব আমাদের হৃদয়ে এক চিরসবুজ অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নযাত্রায় তিনি যেমন নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি তাঁর সুশৃঙ্খল আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের ভিতকে করেছে আরও মজবুত। তাঁর সততা শুধু একটি গুণ নয়, এটি তাঁর জীবনের পথপ্রদর্শক। প্রতিটি দায়িত্বে তিনি যেন মানবিকতার আলো জ্বালিয়ে দেন, যা হাসপাতালের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়েছে সেবার পরম মহিমায়। ড. সানাউল্লাহ শুধু একজন দক্ষ ট্রেজারারই নন, তিনি একজন দূরদর্শী নেতা, যাঁর কর্মস্পৃহা এবং নীতিবোধ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে পরিবর্তনের সুর বেজে উঠিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যে রূপ আমরা দেখেছি, তা আমাদের আশা জাগায়—হাসপাতালের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।
২০২৪-২০২৭ সেশনে ট্রেজারার পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, উন্নয়নের এই ধারা তিনি শুধু বজায় রাখবেন না, বরং একে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন। আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ, উন্নত প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এবং সেবার মানোন্নয়নে তিনি তাঁর সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করবেন।
ড. সানাউল্লাহর এই পথচলা কোনো সাধারণ দায়িত্ব পালন নয়; এটি এক মহৎ অঙ্গীকার, যা ভবিষ্যতের চিকিৎসা ব্যবস্থার মানচিত্রে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। তাঁর প্রতি আস্থা ও সমর্থন আমাদের দায়িত্বশীলতার এক সুন্দর উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। তাঁর হাতে নেতৃত্ব সঁপে দিলে হাসপাতাল কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং সেবার এক আদর্শ মডেল হয়ে উঠবে।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের দীর্ঘদিনের উন্নয়নযাত্রায় একজন সৎ, দক্ষ ও স্বচ্ছ নেতৃত্বের নাম অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালের আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেমন শৃঙ্খলিত হয়েছে, তেমনি উন্নয়নের ধারায় এসেছে গতিশীলতা। বিগত ২০২১-২০২৪ সেশনে ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি হাসপাতালের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন, তা সকলের কাছে প্রশংসিত। এবার তিনি ২০২৪-২০২৭ সেশনের জন্য পুনরায় ট্রেজারার পদপ্রার্থী হিসেবে আপনাদের সমর্থন প্রার্থনা করছেন।
অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা
ড. সানাউল্লাহর কর্মজীবন নীতিনিষ্ঠতা ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পাশাপাশি সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রকল্প-৩-এ ১০ বছর ধরে ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করেছেন। মেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সহসভাপতি এবং মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কো ক্লাবস ফেডারেশন এবং জাতীয় শিশু উৎসবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।
শিক্ষা ও পেশাগত দক্ষতা
চট্টগ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন ভার্জিনিয়া থেকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর গবেষণা ও লেখালেখি দেশের শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বচ্ছতা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হাসপাতালের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন এবং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ছিল তাঁর প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি হাসপাতালের আর্থিক ব্যবস্থাপনার আরো উন্নয়ন, জবাবদিহিতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। প্যানেলের শক্তিশালী নেতৃত্ব ড. সানাউল্লাহর নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সভাপতি লায়ন সৈয়দ মোরশেদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম আজাদ বিগত ২৭ বছর ধরে হাসপাতালের সেবা ও উন্নয়নে অনন্য অবদান রেখেছেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে হাসপাতাল দেশের চিকিৎসা খাতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহর মতো স্বচ্ছ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতার নেতৃত্ব অপরিহার্য। তিনি শুধুমাত্র দায়িত্বশীলতার প্রতীক নন, বরং একজন দূরদর্শী নেতা, যিনি হাসপাতালের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করেছেন। তাঁর প্রতি আস্থা রেখে ভোট দিলে, হাসপাতালের আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নতুন উচ্চতা অর্জন করা সম্ভব হবে।
অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ
ট্রেজারার পদপ্রার্থী
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল
অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর স্বচ্ছ নেতৃত্ব, মানবিক দৃষ্টি এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি হাসপাতালটিকে দেশের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়ক হয়েছে। মানবতার সেবায় তাঁর অবদান শ্রদ্ধার যোগ্য এবং উন্নয়নের ধারায় তিনি আজ এক অনুপ্রেরণা।
লেখকঃ ব্যুরো প্রধান ও যুগ্ম সম্পাদক-দৈনিক ভোরের আওয়াজ এবং
The Daily Banner গবেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক।
মহাসচিব- চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।