1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রাণের সুরে বৈশাখ: জাহিদ আলীর উজ্জ্বল বন্ধুত্বের রঙ আলিফা পুতুল: বৈশাখী বাতাসে এক ডানাকাটা পাখির গান নতুন বছরের প্রথম সকাল: রাজপথের রাজপুত্রদের সাথে একটুকরো বৈশাখ! শতায়ু অঙ্গনের হিরো-হিরোইনদের বৈশাখী মহোৎসব চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নয়, চলছে পরীক্ষার প্রহসন! পহেলা বৈশাখ: বাংলার প্রাণের দিন ডিসি হিলে বর্ষবরণের মঞ্চে হামলা: ৪৭ বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে বর্বর থাবা! ফটিকছড়ির রোসাংগিরীতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলাচলের পথে আবারও প্রতিবন্ধকতা— ভুক্তভোগী পরিবার চরম দুর্ভোগে! বৈশাখকে কেন্দ্র করে হোমনার বাশি শিল্পের কারিগররা মহা ব্যস্ত জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণতন্ত্রে ফিরতে হবে: গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী

শতায়ু অঙ্গনের খোরশেদ: ক্যামেরার পেছনে হাসির গল্প, সামনে ওজন কমানোর যুদ্ধ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ব্যস্ততার মেলা আর বাটালি হিলের সবুজ সকালের কথা-
আজকের দিনটা নিয়ে কথা থাকলেও গতকাল যেন দিনটা ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছুটছিল তা আজকে হাঁটার পর বাসায় বসে ভাবনার মধ্যে দিয়ে লিখতে বসলাম- ভোরের আলো ফোঁটার আগেই বেরিয়ে পড়লাম, আর ফিরতে ফিরতে চাঁদের আলোও ক্লান্ত। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাচনে ভোট দিলাম, তারপর স্টেডিয়ামে সাংবাদিক ফারুক ইকবালের প্রতিষ্ঠিত চিটাগং জার্নালিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ক্লাস নিলাম। শিক্ষার্থীদের চোখে সেই পুরনো দিনের আমি—আগ্রহ আর কৌতূহল নিয়ে বসে আছে।
এরপর প্রেসক্লাবে চরণদ্বীপ দরবার শরীফের সেমিনারে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে পা বাড়ালাম “বুক মার্কেট”-এর দিকে, যেন বইয়ের সমুদ্রে ডুব দিই। প্রেসক্লাবের বইয়ের দোকানটায় ঢুঁ মারলাম, বইয়ের গন্ধ নাকে ঢুকে মনে করিয়ে দিলো—জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো এই পাতার ফাঁকেই লুকিয়ে আছে।
অফিসের কিছু কাজও করলাম, তবে মনে হচ্ছিল কাল যেন আল্লাহর বিশেষ রহমত ছিল—কয়েকটা চমৎকার লেখা ঝটপট মাথায় এসে গেল। এর মধ্যে কয়েকটা বিয়ের দাওয়াত ছিল, বিশেষ করে চন্দনাইশের মান্নান চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়েতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার ঘোড়া লাগাম ছাড়ায়, তাই যাওয়া হলো না। দিন শেষে যখন হাঁটার পালা এল, তখন পা বাড়ালাম বাটালি হিলের সবুজ গালিচায়। চারপাশে শুধু প্রকৃতির ছোঁয়া, যেন জীবন একটু নিঃশ্বাস নিতে চায়। ব্যায়ামও সেরে নিলাম। বাটালি হীলে ছিলেন আমাদের প্রাণখোলা খোরশেদ ভাই—মানুষটা যেন হাসির মজুদাগার। ছবি তোলার বাতিক এমন যে, সবুজের মধ্যে আমাকেও লেন্সে বন্দি করে ফেললেন। সেই আগ্রহ করে পাশে টেনে নিয়ে বললেন, “ভাই, একখান পারফেক্ট ছবি তুলি!”
খোরশেদ ভাই শরীর চর্চায় আগ্রহী বটে, তবে নিয়মিত হন না। তার ওজন আর ব্যায়ামের মধ্যে চোর-পুলিশ খেলা চলে! সিএনজিতে চড়ে বাটালি হিলে আসেন, তবে শতায়ু অঙ্গনের নিবেদিত প্রাণ। তার তোলা ছবি গ্রুপে পোস্ট করতে একেবারে ভোলে না। মাঝে মাঝে এমন ভঙ্গিতে ব্যায়াম করান, যেন তিনি গুরু আর আমরা শিষ্য! আজ সকালে খোরশেদ ভাই অনুপস্থিত। তাই তার তোলা ছবিগুলো দিয়েই দিনের শুরুটা করলাম। গতকাল আকাশ ছিল মেঘের চাদরে ঢাকা, কুয়াশার ওড়না ঝুলছিল গাছের ডালে। আর আজ? ঝকঝকে নীল আকাশ যেন প্রকৃতির হাসি।সবাইকে আবারও শুভ সকাল জানাই। দিন হোক কর্মমুখর, মনে থাকুক প্রশান্তির ছায়া।
খোরশেদ ভাই, শতায়ু অঙ্গনের প্রাণবন্ত চরিত্র-খোরশেদ ভাইকে যদি এক কথায় বর্ণনা করতে হয়, তবে বলব—তিনি আমাদের শতায়ু অঙ্গনের “মুখরিত মোটা মানুষ”! হাসতে হাসতে প্রাণ যায়, কিন্তু তার শরীরের চর্বি যায় না। শতায়ু অঙ্গনে আমরা সবাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে আসি, আর খোরশেদ ভাই আসেন… মাঝে মাঝে, সিএনজিতে চড়ে! হাঁটতে শুরু করলে দম ফুরিয়ে যায়, তাই অনেক সময় ব্যায়ামের আগে ব্যায়ামের গল্পটাই বেশি চলে তার মুখে। তার শরীরের ওজন কমানোর দরকার—এটা যেমন সত্য, তেমনি সত্য হলো, সেই ওজন নিয়েই তিনি যেন আমাদের আনন্দের বিশাল পাত্র! মোটা মানুষদের হাসির রসায়ন নাকি স্বভাবজাত, আর খোরশেদ ভাই যেন সেই কথার জীবন্ত উদাহরণ। সেদিন ব্যায়ামের সময় বলছিলাম, “খোরশেদ ভাই, একটু জোরে হাঁটেন, ঘাম ঝরান!” খোরশেদ ভাই দম নিতে নিতে বললেন, “ভাই, আমার শরীর ঘামায় না, সরাসরি তেল বের হয়!”
বাটালি হিলের সবুজ বেষ্টনীতে যখন সবাই ব্যস্ত শরীর চর্চায়, খোরশেদ ভাই তখন ক্যামেরা হাতে ‘পর্যবেক্ষণ’ করছেন। তাঁর ক্যামেরার লেন্সে আমরা সবাই আটকা পড়েছি বহুবার। ব্যায়ামের মাঝে হঠাৎ ছবি তোলার ডাক— “ভাই, একখান ছবি তুলেন, পরে পোস্ট দিবো!”
কিন্তু এ কথা বললে তার চোখে মায়াভরা ভালোবাসা জ্বলে ওঠে। তিনি বলেন, “ভাই, আমি ছবি তুলি তো ভালোবাসা থেকেই। আপনাদের দেখে অনুপ্রাণিত হই!” তবে মজার ব্যাপার হলো, শতায়ু অঙ্গনের অনেক সদস্যের ব্যায়ামের গুরু হয়ে উঠেছেন তিনি নিজেই! মাঝে মাঝে এমন গাম্ভীর্য নিয়ে ব্যায়াম করান, যেন তিনি আমাদের ফিটনেস ট্রেইনার। অথচ তার নিজের ব্যায়াম শুরু হয় ১০ মিনিটের জন্য, তারপর বিশ্রাম ৩০ মিনিট। শতায়ু অঙ্গন খোরশেদ ভাইয়ের মতো প্রাণবন্ত মানুষদের জন্যই এতো রঙিন। তার প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টি রেখেই বলি—ভাই, আপনাকে আরো পাতলা দেখতে চাই। কারণ, মোটা খোরশেদ ভাইয়ের হাসি যেমন মধুর, তার চেয়েও মধুর হবে এক ঝরঝরে, সুস্থ খোরশেদ ভাই! তাই আগামী দিনে খোরশেদ ভাই যেন শুধু ক্যামেরা হাতে নয়, ব্যায়ামের মাঠেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, এই কামনা রইল। আর যদি ওজন কমে যায়, তাহলে হয়তো শতায়ু অঙ্গনের শতবর্ষী হওয়ার দৌড়ে তিনিই প্রথম থাকবেন!

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট