গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪: আজ চট্টগ্রাম মডেল স্কুলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সহ-সভাপতি মোসা. ইয়াসমিন ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট খন্দকার মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মাহবুবুল আলম বলেন, “চট্টগ্রাম মডেল স্কুল প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, দেশপ্রেম এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীরা একদিন জাতির নেতৃত্ব দেবে, এটি আমাদের সবার প্রত্যাশা।”
প্রধান আলোচক সাংবাদিক মোঃ খললুর রহমান বলেন, “বর্তমান সময়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম মডেল স্কুলের শিক্ষকরা এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রেখেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।”
বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক এম. নজরুল ইসলাম খান। তিনি স্কুলের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, “চট্টগ্রাম মডেল স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল সীমিত পরিসরে, কিন্তু আজ এটি চট্টগ্রামের অন্যতম মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম, অভিভাবকদের সহযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায় রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আরিফ উদ্দিন এবং চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মোসলেহ উদ্দিন বাহার। পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিভিন্ন শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া বিশেষ বিষয়ে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদেরও পুরস্কৃত করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ ইলিয়াছ, রুমানা পারভীন, রত্না মল্লিক, কণিকা দাস, লাকি আক্তার, তানজিনা আক্তার, লাকি দাস, খাদিজা আক্তার, সুপন দেবনাথ, রিনা আক্তার এবং রেশমি বৈষ্ণব।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের উপর ভিত্তি করে গান, নৃত্য এবং নাটিকা পরিবেশন করে। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা উপস্থিত অতিথি, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মুগ্ধ করে।
এই আয়োজনে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পুরো অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেয়।