1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
আশাশুনিতে ওয়াজেদ ফকির সরকারি খাস জমি নিজের নামে নিয়ে বিক্রি করায় এলাকা বাসীর ক্ষোভ! মুজিবনগর সরকার: স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা-লিপি তেকোটা প্রতিভার আয়োজনে বর্ষবরণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নাছিম: সত্যের পথের এক নিবেদিত সংগ্রামী সিটিজি প্রপার্টি স্পোর্টস একাডেমি আয়োজিত ফুটসাল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের জন্য ৩৫,০০০ টাকা পুরস্কার! ওসি মোঃ আফতাব উদ্দিনের দক্ষ নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার বেঈমানের ভিড়ে একলা সত্যের যোদ্ধা: আমি নাছিম সাদিয়ার আম্মু এবং এক অচেনা হৃদয়দ্বার চান্দগাঁও থানার গৌরব—২য়বারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত আফতাব উদ্দিন, প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ” হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নেপথ্যে: রাষ্ট্রদূত, ব্ল্যাকমেইল ও মডেল মেঘনা আলমের রহস্যঘেরা জগত!

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার: সংস্কৃতির পুনর্নির্মাণে নিরাপত্তাহীনতা ও অপ্রীতিকর পরিবেশ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

“দৈনিক ভোরের আওয়াজ এবং The Daily Banner পত্রিকার অনুসন্ধানে যা কিছু দেখেছি এবং যা জেনেছি, তা লেখার চেষ্টা করেছি।” “ছিঃছিঃ, লজ্জিত হচ্ছি চট্টগ্রামের শহীদ মিনারের কথা লিখতে গিয়ে। শত শত কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত আধুনিক শহীদ মিনার ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স এখন পরিণত হয়েছে পতিতালয় ও মাদকাসক্তদের আখড়ায়। দিনের বেলায় কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর সেখানে ভাসমান পতিতাদের ও মাদকের বাজার বসে, অথচ তদারকি করার কেউ নেই। এত সুন্দর প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী সরকারী সংস্থাগুলো যেন রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ। সিটি কর্পোরেশন ও ডিসি অফিস, যারা এর তত্ত্বাবধানে থাকার কথা, তারা কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আজ, এই শহীদ মিনারের কথা লিখতে বসে, নিজেকে লজ্জিত বোধ করছি।” চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম ও সংস্কৃতির নতুন জাগরণ চট্টগ্রাম শহরের কে সি দে সড়ক এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। ১৯৬২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে এটি নির্মিত হয় এবং তার পর থেকে এটি শহরের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বর্তমানে শহীদ মিনারের পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায়। শহীদ মিনারের পুনর্নির্মাণ শহীদ মিনারের পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে এটি ভেঙে নতুন নকশায় নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত শহীদ মিনারে বিভিন্ন দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন শহীদ মিনারটি শহরের জন্য একটি মসৃণ ও আধুনিক সংস্কৃতির পরিচায়ক হতে চলেছে। চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স
চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে চলেছে। ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করেন। দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী, মুসলিম ইনস্টিটিউট হল এবং বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের সংস্কার কাজের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক পরিসরে এক নতুন গতি আসবে।
এই প্রকল্পের অধীনে ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজটি বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম হল ভেঙে আটতলা একটি নতুন ভবন এবং গণগ্রন্থাগারের পুরোনো ভবন ভেঙে ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন ভবন দুটি এখন চট্টগ্রামের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের অগ্রগত ২০১৭ সালে একনেকে পাস হওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে। এতে ১৫ তলা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, ১৪৪৯৩.২২ বর্গফুট আয়তনের মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হলসহ বেশ কিছু অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের আওতায় একটি বড় সেমিনার কক্ষ, সভাকক্ষ, আইসিটি ইউনিট, চিলড্রেন লাইব্রেরি, পেপার লাইব্রেরি, সায়েন্স লাইব্রেরি, রেফারেন্স লাইব্রেরি ইত্যাদি সুবিধা থাকবে। এছাড়া, এই ভবনে ৩০টি কম্পিউটারসহ একটি আইসিটি লাইব্রেরি, ১টি রেস্ট হাউজ, ভিআইপি কক্ষ, সাধারণ ডরমেটরি কক্ষ এবং ৫০ আসনের সেমিনার কক্ষ থাকবে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এটি শুধু চট্টগ্রাম শহরের নয়, দেশের সাংস্কৃতিক দৃশ্যে একটি বড় পরিবর্তন আনবে। কাজের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গণপূর্ত অধিদফতরের চট্টগ্রাম-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ জানান, প্রকল্পের কাজের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে শুধু কিছু কাজ বাকি রয়েছে, যার মধ্যে এসি, রঙ ও একেস্টেটিক কাজ রয়েছে, যা বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। তার মতে, খুব শীঘ্রই এসব কাজও সম্পন্ন হবে এবং শহীদ মিনার নতুন রূপে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত হবে।
চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পটি শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। শহীদ মিনারের পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে এটি নতুন দৃষ্টিনন্দন রূপে আবির্ভূত হবে। একে কেন্দ্র করে শহরের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আরও প্রাণবন্ত হবে এবং চট্টগ্রাম একটি নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণের সাক্ষী হবে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাদকের আখড়ায় পরিণত, পাশাপাশি রাতের বেলায় ভাসমান পতিতা-দের পতিতাবৃত্তিক বাজার পরিনত হয়,সব কিছুই মিলেই একটি অপরিচ্ছন্ন অপবিত্র স্হান হিসাবে পরিচয় লাভ করেছে, কোন ভালো পরিবার সাবাবিক ভাবে শহীদ মিনারে ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে যাইতে চাইনা সংগত কারণে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একেবারে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে, এককথায়
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
পতিতালয় এবং মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে মাদক সেবনকারীরা দাপটের সঙ্গে চলে আসে, যেখানে নিরাপত্তাহীনতা ও প্রশাসনিক অবহেলা বিষয়টি আরো জটিল করেছে। চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাবের কারণে শহীদ মিনারসহ পুরো কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অসম্পূর্ণ থাকা কমপ্লেক্সের ২০১৯ সালে ১৫ তলা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, তবে প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও এটি সম্পূর্ণ হয়নি। গত বছরের অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হয়, যদিও তখনও অনেক কাজ অসমাপ্ত ছিল। এটি ছিল এক ধরনের তড়িঘড়ি উদ্যোগ, যার ফলে পুরো ভবনের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এদিকে, সরকারি বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার এই কমপ্লেক্সের দুটি ফ্লোরে দাফতরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে, তবে এর পাঠ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। নিরাপত্তাহীনতার সুযোগে মাদকের আসর কমপ্লেক্সের কাজ অসম্পূর্ণ থাকার ফলে সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা স্থাপিত হয়নি, যার সুযোগ নিয়ে মাদক সেবনকারীরা রাতভর সেখানে অবস্থান করছে। মাদকের আখড়া হয়ে উঠেছে পুরো কমপ্লেক্স এলাকা, বিশেষ করে শহীদ মিনারের আশপাশ। সন্ধ্যা হলেই শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকা মাদকসেবীদের দখলে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে যে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরীরা উৎকোচ গ্রহণ করে এখানে ভাসমান মানুষদের থাকার সুযোগ প্রদান করছে, যার ফলে পুরো এলাকা অপরাধীদের জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।
কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সরকারি বিভাগের পক্ষে, কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা দায়িত্ব এখনও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই)-এর হাতে রয়েছে। তবে, অভিযোগ উঠেছে যে এনডিই নিরাপত্তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রহরীরা নিরাপত্তার পরিবর্তে উৎকোচ গ্রহণ করে মাদক সেবনকারীদের কমপ্লেক্সে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। এছাড়া, শহীদ মিনারের আশপাশে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বা নজরদারি না থাকায়, মাদকসেবীরা সেখানে অবাধে মাদক সেবন ও অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
শহীদ মিনারে মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের অরাজকতা
শহীদ মিনারটিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা আড্ডা দিতে আসে। তারা অনেক সময় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সেখানে পুরো দিন কাটায়, খোশগল্পে মত্ত থাকে। তবে, শহীদ মিনারের পেছনে দিনে ও রাতে মাদকসেবীরা এখানে সময় কাটায়, যাদের সম্পর্কে প্রশাসন বা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। অনেক দোকানদার জানান, তারা প্রতিদিনই শহীদ মিনারের আশপাশে মাদক সেবনকারীদের ঘোরাফেরা দেখে থাকেন, এবং সেখানে কোনো ধরনের নজরদারি বা প্রতিবন্ধকতা নেই।
প্রশাসনিক অবহেলা
এ বিষয়ে, চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা এনডিই-এর সাইট অফিসের ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান জানান, তারা প্রকল্পের কাজ কখন শেষ হবে, তা জানেন না। তিনি এই বিষয়ে কথা বলার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।
এদিকে, সরকারি বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা জানিয়েছেন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এখনও পুরো কমপ্লেক্সটি তাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। তাই নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের নিকট বর্তায়নি। তবে, তিনি বলেছেন, একবার যখন কমপ্লেক্সের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন নিরাপত্তাসহ সমস্ত দায়িত্ব তারা গ্রহণ করবে। স্থানীয় জনগণের উদ্বেগ এ বিষয়ে, মুসলিম ইনস্টিটিউট কমপ্লেক্সের সামনে ভাসমান দোকানদাররা জানিয়েছেন, এখানে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। শহীদ মিনারে বাহির থেকে দু’পাশ দিয়ে বাধাহীনভাবে প্রবেশ করা যায়, এবং সেখানে কোনো ধরনের তদারকি বা নিরাপত্তা নেই। দোকানদাররা আরো জানান, শহীদ মিনারের আশপাশে মাদক সেবনকারীরা যখন ইচ্ছে সেখানে বসে থাকে, অথচ কেউ তাদের বাধা দেয় না।
প্রশাসনকে আবারো লিখিত অভিযোগ গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা, প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান-কাম-উপপরিচালক এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান বলেন, শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং মাদকসেবীদের উচ্ছেদ করতে প্রশাসনকে অনেকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, তবে তারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, প্রশাসনকে আবারও লিখিতভাবে জানানো হবে, যাতে শহীদ মিনারসহ কমপ্লেক্সের আশপাশ থেকে মাদকসেবীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। সমাধান প্রস্তাব এখন জরুরি হচ্ছে প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাছাড়া, মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে, পুরো কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান হলেও, এর নিরাপত্তাহীনতা ও মাদক সেবনের আসর এই স্থানটির মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রশাসন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি বিভাগের উচিত সম্মিলিতভাবে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা, যাতে শহীদ মিনার এবং এর আশপাশের এলাকা আবারও নিরাপদ এবং সুস্থ পরিবেশে পরিণত হতে পারে।
লেখকঃ যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান-দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও The Daily banner, এবং গবেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট