নতুন বই সমাচারঃ
“দেশীয় প্রকাশনা শিল্পের উন্নতি এবং পাঠ্যবই বিতরণের নৈতিকতা: ভারতীয় দালালীর বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থের চ্যালেঞ্জ”
আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিনিয়ত শিক্ষা, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। অথচ, এই সময়ে আমাদের দেশে শত শত বিশ্বমানের প্রিন্টিং প্রেস থাকার পরেও কেনো ভারত থেকে পাঠ্যবই ছাপানো হত? একসময়, দেশে শিক্ষা উপকরণের যোগান দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বইগুলোর ছাপানোর দায়িত্ব ছিল স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, বেশ কিছু রাজনৈতিক চক্রান্তের ফলে বাংলাদেশের কয়েকটি প্রিন্টিং প্রেসের মাধ্যমে বই ছাপানো বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশ সরকারের ‘ডিপু মনির ভাইয়ের দালালীর’ মাধ্যমে ভারতে বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত, যা দেশীয় শিল্প ও জাতীয় স্বার্থের পক্ষে ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশ্বমানের প্রিন্টিং প্রেস থাকা সত্ত্বেও ভারতের উপর নির্ভরশীলতা:
বাংলাদেশে আধুনিক, উন্নত এবং বিশ্বমানের প্রচুর প্রিন্টিং প্রেস রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার বই অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে ছাপানো সম্ভব। দেশের কয়েকটি বড় প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে বই ছাপানোর ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতা প্রমাণ করেছে। কিন্তু, দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক মহলের কিছু সিদ্ধান্ত এবং বিশেষ স্বার্থের কারণে দেশের এই প্রিন্টিং শিল্প ব্যবহৃত হয়নি। বরং, ভারতের কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েনি বাংলাদেশ, বরং স্থানীয় শিল্প, কর্মসংস্থান এবং জাতীয় স্বার্থের প্রতি অবহেলা করা হয়েছে।
দালালীর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং দুনীতির অবকাশ:
এটা পরিষ্কার যে, সরকারের এমন এক সিদ্ধান্ত যেখানে সরকারি টেন্ডার এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভারতের প্রকাশক ও প্রিন্টার্সদের বই ছাপানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে অনেক অর্থনৈতিক অনিয়ম ও দুনীতির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‘ডিপু মনির ভাইয়ের দালালীর’ মতো কুখ্যাত ঘটনা দেশের পাবলিকেশনের শিল্পের ক্ষতি করেছে। যারা এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল, তারা নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের শত শত প্রেসের সাথে প্রতারণা করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা পাচারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কাগজ, মুদ্রণ এবং বই তৈরির কাজ অন্য দেশের হাতে চলে গিয়েছিল, যা সরাসরি দেশীয় শিল্পকে অকার্যকর করে দিয়েছিল। এই বই ছাপানোর কাজকে একটি রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক প্লট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেশের জন্য ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভারতের মাধ্যমে বই ছাপানোর ফলে হওয়া আর্থিক ক্ষতি: বাংলাদেশের স্থানীয় প্রেসগুলো অনেকাংশে অত্যন্ত দক্ষ ও সাশ্রয়ীভাবে বই ছাপাতে সক্ষম। কিন্তু, ভারতের প্রকাশকদের মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাপানোর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটা অংশ বিদেশে চলে যায়। বাংলাদেশ সরকার যেসব বই ছাপানোর জন্য ভারতে টেন্ডার দেয়, তা থেকে অনেক টাকা ভারতের পকেটে চলে যায়, যা বাংলাদেশে থাকতে পারতো। দেশের কাগজ, ছাপানো, পরিবহন এবং বিতরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে খরচে কাজ করতে পারতো, ভারতের প্রতিষ্ঠান সেটি অনেক বেশি দামে করেছে। এর ফলে দেশের সঞ্চয় এবং শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অর্থনৈতিক ক্ষতি দেশের সাধারণ জনগণ এবং সরকারকে বহন করতে হয়েছে।
দেশীয় প্রেস থেকে বই ছাপানো হলে কী সমস্যা হতো?
বাংলাদেশের যদি এই কাজটিকে স্বচ্ছভাবে দেশীয় প্রিন্টিং প্রেসের মাধ্যমে করা হতো, তবে এর কয়েকটি সম্ভাব্য সুফল হতে পারতো: ১. অর্থনৈতিক সাশ্রয়: দেশের নিজস্ব প্রেসগুলো স্থানীয় বাজারে কাজ করলে বিদেশি কোম্পানির তুলনায় খরচ অনেক কম হত। দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করতে আরও সাহায্য মিলত এবং বিদেশি মুদ্রার ক্ষতি হতো না।
২. কর্মসংস্থান সৃষ্টি: দেশীয় প্রেসগুলো থেকে বই ছাপানোর ফলে এখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হত, যা দেশের কর্মী বাহিনীর জন্য উপকারী হতো। এখানকার শ্রমিকরা ভাল মানের কাজ করতে পারতেন, এবং নতুন কর্মীরাও সুযোগ পেতেন। ৩. জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা: পাঠ্যবই জাতীয় পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অনুযায়ী তৈরি করা উচিত। অন্য দেশে বই ছাপানোর মাধ্যমে
দেশের শিক্ষার ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে যেতে পারে এবং এতে একধরনের কৌশলগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। নিজের দেশের প্রিন্টিং প্রেস থেকে বই ছাপানো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আরও কার্যকরী হতে পারে। ৪. শিক্ষা এবং সংস্কৃতির মান: দেশের নিজস্ব প্রেসগুলো থেকে ছাপানো বইয়ের মধ্যে দেশে নির্মিত ডিজাইন, কন্টেন্ট এবং ভাষার ব্যবহারের উপর আরও নিয়ন্ত্রণ রাখা যেতে পারে। দেশের নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি এক ধরনের সম্মান এবং আত্মবিশ্বাস সৃষ্টিতে সহায়ক হতো।
এটি পরিষ্কার যে, দেশীয় প্রেসগুলো থেকে বই ছাপানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ দেশের নিজস্ব শিল্প এবং অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখতে পারতো। ভারত থেকে বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষে লাভজনক না হলেও, এটি কিছু মানুষের ব্যক্তিগত লাভের কারণে নেওয়া হয়েছিল। ‘ডিপু মনির ভাইয়ের দালালীর’ মাধ্যমে যা হয়ে গেছে, তা দেশের জন্য দুঃখজনক এবং এর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
এছাড়া, সরকারি নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রিন্টিং শিল্প এবং প্রকাশনা খাতকে সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয় এবং এই ধরনের অনিয়ম আর দুনীতি ঠেকানো সম্ভব হয়। এই লেখাটি আমার বন্ধু পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হোসাইনের বিশেষ অনুরোধে লেখা হলো, যারা দেশের স্বার্থ এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন শিক্ষাবর্ষ এবং পাঠ্যবই বিতরণের প্রেক্ষাপট- ২০২৫ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে এবং এই বছরেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ১লা জানুয়ারি নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল। প্রতি বছর নতুন বই বিতরণের জন্য উৎসবের আয়োজন করা হতো, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের উদ্দীপনা এবং আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি করত। তবে, এই বছর সবার হাতে নতুন বই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এবং বিভিন্ন জায়গায় বই বিতরণের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে, যা তাদের জন্য কিছুটা হতাশাজনক হতে পারে। যদিও ১লা জানুয়ারী বই বিতরণের প্রচলিত ঐতিহ্য অটুট রাখতে চাওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই সাথে পাঠ্যবইয়ের মান, কাগজের গুণ, প্রিন্টিং এর উন্নতি এবং কার্যকারিতা সব কিছুই যে আগে থেকে অনেক উন্নত হয়েছে তা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ২০২৩-২৪ সালে ছাপানো বইয়ের কাগজ এবং প্রিন্টিংয়ের মান যেখানে বেশ নিম্নমানের ছিল, সেখানে ২০২৫ সালের বইয়ের কাগজ ও প্রিন্টের মান অনেক বেশি উন্নত। এটি একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য সুখকর, তেমনি এর মাধ্যমে সরকারের শিক্ষা নীতির একটি সুস্পষ্ট উন্নতির ইঙ্গিতও পাওয়া যায়।
বই বিতরণের উৎসব এবং এর প্রভাব:
নতুন বছরের প্রথম দিনটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আনন্দদায়ক দিন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। স্কুলে স্কুলে বই বিতরণের উৎসব চলত, যা ছিল এক ধরনের ঐতিহ্য। শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হতো। তবে বর্তমানে বই বিতরণের এই উৎসব নিয়ে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, বই বিতরণের উৎসবের মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রচারের উদ্দেশ্যে কাজ হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে শিক্ষার মান উন্নতির জন্য এটি যথেষ্ট নয়। সত্যিই, বই বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা যাবে না। শিক্ষার উন্নতি ঘটানোর জন্য প্রয়োজন আরো ব্যাপক উদ্যোগ, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং একটি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থার স্থাপন। বই বিতরণ একটি বাহ্যিক আয়োজন মাত্র, তবে এর পিছনে যে বাস্তব পরিবর্তন প্রয়োজন, সেটি আরও গভীরভাবে ভাবা উচিত। শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে হবে, কিন্তু সেই বই যেন শুধু কাগজের এক টুকরো না হয়ে ওঠে, তার মধ্যে বাস্তব জ্ঞান, শিক্ষার গভীরতা এবং উদ্দীপনা থাকতে হবে। এছাড়া, একদিনে সব বই বিতরণের উদ্যোগ আসলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেটি সৃষ্টি করতে পারে, তা হলো চাপ এবং চাপের মধ্যে পড়ে তারা বইগুলো যথাযথভাবে পড়তে ও অনুশীলন করতে পারবে না। এক দিনে বই বিতরণ মানে এটি একটি বড় আয়োজন, কিন্তু তা আদতে শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ করতে সক্ষম নয়। বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি বড় অনুষ্ঠান হতে পারে, কিন্তু তার মধ্যে যে কার্যকরী শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করা প্রয়োজন, সেটা অনেক সময় মিস হয়ে যায়। পাঠ্যবইয়ের গুণগত মান এবং উন্নতি: ২০২৫ সালের বইগুলির মান এবং গুণগত পরিবর্তন ইতিবাচক। বিশেষ করে, ২০২৩ সালের তুলনায় এবারের বইয়ের কাগজের মান ও প্রিন্টিং বেশ উন্নত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখন তাদের নতুন বই হাতে পেয়েছে, তাদের মুখে আনন্দের ঝিলিক ফুটে ওঠে, এবং তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি উৎসাহিত হয়। তবে, এই উন্নত কাগজ ও প্রিন্টের মান শুধু বই বিতরণের উৎসব পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে, এর পূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে না।
প্রিন্টিং মানের উন্নতি, কাগজের গুণগত মানের পরিবর্তন এবং ডিজাইন উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি বই যেন শিক্ষার যথাযথ উপকরণ হয়ে উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন বই বিতরণ এবং তার গুণগত মান পর্যালোচনা করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা যদি শুধুমাত্র এক দিনে সীমাবদ্ধ থাকে, তা কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে সহায়ক হবে না।
এনসিটিবি এবং বই ছাপানোর প্রক্রিয়া:
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে পাঠ্যবই ছাপানোর একটি বড় অংশ ভারতীয় প্রকাশকদের হাতে ছিল। ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের পাঠ্যবই ভারতীয় প্রকাশকদের মাধ্যমে ছাপানো হচ্ছিল, যা নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, দেশের নিজের প্রকাশনা শিল্পকে সমর্থন দেওয়া উচিত এবং ভারত থেকে বই ছাপানোর এই কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত। তবে, এটি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনও গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া, এই বছরের বইগুলো ভারত থেকে ছাপানোর জন্য দুটি প্রকাশককে কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের প্রকাশনা শিল্পের বিকাশে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং জাতির স্বার্থের জন্য এটি একটি বড় প্রশ্ন হতে পারে। দেশের প্রিন্টিং শিল্পের উন্নতি এবং নিজস্ব কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপের মধ্যে থাকা উচিত। দেশীয় শিল্পের উন্নতি এবং জাতীয় স্বার্থ: বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে দেশের নিজস্ব কারিগরি এবং প্রকাশনা শিল্পের বিকাশ প্রয়োজন। ভারতীয় প্রকাশকদের মাধ্যমে বই ছাপানো দেশের স্বার্থের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে। এই ক্ষেত্রে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দেশীয় প্রকাশক এবং প্রিন্টিংপ্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি সমর্থন প্রদান করা, যাতে দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকে। বিষয়টি এমনভাবে ভাবতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রছাত্রীরা গর্বিতভাবে নিজেদের বই দেশীয় প্রকাশকদের মাধ্যমে পাবেন, যা দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠবে।
সর্বশেষে, ২০২৫ সালের পাঠ্যবই বিতরণ এবং নতুন শিক্ষাবর্ষের সূচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটি দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি পদক্ষেপ হতে পারে, কিন্তু এটি শুধু বাহ্যিক আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে, বাস্তব পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। একদিকে, নতুন বইয়ের কাগজ, প্রিন্ট এবং গুণগত মানের উন্নতি ইতিবাচক, তবে সেই সঙ্গে সরকারের উচিত আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া, যা শিক্ষার্থীদের উন্নত ও সঠিক শিক্ষায় আরও সহায়তা করবে। বই বিতরণের উৎসব শুধুমাত্র একটি আয়োজন নয়, এর মাধ্যমে শিক্ষার গভীরতার দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া, পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রে দেশীয় প্রকাশনা শিল্পের প্রতি সমর্থন জানানো এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুবই জরুরি