
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি বিরোধপূর্ণ ঘেরের মাছ ধরে বিক্রিকালে কেশবপুর থানা পুলিশ পিকআপসহ অর্ধলাখ টাকার মাছ জব্দ করেছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের মনোহরনগর বিলে আলতাপোল এলাকার মেহেদী হাসান বিশ্বাসের ১৪ বিঘা জমির একটি ছোট মাছের ঘের রয়েছে। গত বছরের ১ বৈশাখ কৃষকদের কাছ থেকে ৫ বছরের জন্য চুক্তিপত্র করে তিনি মাছ চাষ করছেন। ওই ঘের দখলের জন্যে বিভিন্ন সময়ে পাঁজিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখ তার ছেলে জিয়া শেখ ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী হাসান বিশ্বাস বাদী হয়ে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে কেশবপুর থানার এসআই লক্ষন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের ঘেরে প্রবেশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত ১৪ মার্চ সকালে আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আব্দুর রাজ্জাক শেখ ভাড়াটে লোকজন এনে ঘেরের মাছ ধরে বিক্রির জন্যে পিকআপে বোঝাই করতে থাকে। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার এসআই সাইমুনের নের্তৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপসহ অর্ধলাখ টাকার মাছ জব্দ করেন। এঘটনায় ঘের মালিক মেহেদী হাসান বিশ্বাস বাদি হয়ে আব্দুর রাজ্জাক শেখ তার ছেলে জিয়া শেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে।
প্রতিপক্ষ আব্দুর রাজ্জাক শেখ জানান, ঘেরটি তিনি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। ওই ঘেরের কিছু কৃষকের কাছ থেকে সে ডিডে স্বাক্ষর নিয়ে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েই অভিযান চালিয়ে মাছসহ পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনা জানতে চাইলে এস আই সাইমুন বলেন খবর পেয়ে পিকাপসহ মাছ জব্দ করে নিয়ে এসে মৎস্য আড়ৎ এ বিক্রি পর হিসাব-নিকাশের চালান করে রাখা হয়েছে বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান মিমাংসা হওয়ার পর রায় মোতাবেক চালান ও টাকা হস্তান্তর করা হবে।।