1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বৈশাখকে কেন্দ্র করে হোমনার বাশি শিল্পের কারিগররা মহা ব্যস্ত জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণতন্ত্রে ফিরতে হবে: গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী শুভ নববর্ষ” বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও কিভাবে ১লা বৈশাখ এলো ইতিহাসের আয়নায় মুখ দেখলে হিন্দুত্ববাদী ভারত লজ্জায় পড়ে যায়: মুসলিম শাসকদের গৌরবই আজকের ভারতের ভিত্তি রাজনীতির আড়ালে বিশৃঙ্খলার ছক: ঢাকামুখী কর্মসূচি ঠেকাতে চট্টগ্রামে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতিবাদী বজ্রনিনাদ: চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মানববন্ধনে উত্তাল জনতা নিশ্ছিদ্র ভালোবাসার আলোয় মোড়া “দাদীর ছায়া কাইয়া” ইলিশ-পান্তা ও বর্ষবরণ: ইতিহাসের আলোকপাতে বাঙালিয়ানার প্রকৃত মানে বাংলা এক্সপ্রেস: সংবাদ জগতের এক নতুন সূর্যোদয় চট্টগ্রামের রাজনীতির রাজপুত্র: রাজনীতির নির্ভরতার প্রতীক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে নিয়ে হৃদয়ভরা শ্রদ্ধাঞ্জলি

মোস্তাক আহমেদ—একজন ত্যাগী সৈনিক, একজন আগামীর পথপ্রদর্শক

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

বোয়ালখালীতে পরিবর্তনের প্রত্যাশা: বোয়ালখালী, চান্দগাঁও ও বায়েজিদ—চট্টগ্রামের এই তিনটি জনপদ যেন যুগের পর যুগ ধরে একটি প্রতীক্ষার ভার বয়ে চলেছে। প্রতীক্ষা একটি দৃঢ়, বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের; একজন এমন প্রতিনিধি, যিনি কেবল শ্লোগান নয়, বরং বাস্তবতা দিয়ে গড়বেন উন্নয়নের সেতুবন্ধ। আজ সেই অপেক্ষা যেন শেষের দিকে, কারণ রাজনীতির মাঠে আবির্ভূত হয়েছেন একজন সাহসী, সংগ্রামী ও সৎ নেতা—মোস্তাক আহমেদ।
মোস্তাক আহমেদ রাজনীতিতে এসেছিলেন শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে, নিপীড়িতের পক্ষে কণ্ঠস্বর তুলতে। চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক আন্দোলনের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যখন অধিকারের দাবিতে গর্জে উঠেছিল জনতা, তখন তাদের কণ্ঠস্বর হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মোস্তাক আহমেদ। তিনি ছিলেন না কোন অলীক প্রতিশ্রুতির ফেরিওয়ালা, ছিলেন মাঠের মানুষ, সংগ্রামের সৈনিক। সেই সময় থেকেই তিনি বিএনপির মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হন, এবং আজও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে, বেগম খালেদা জিয়ার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং তারেক রহমানের স্বপ্নময় ভবিষ্যত পরিকল্পনায় আস্থাশীল থেকে এগিয়ে চলেছেন অদম্য পথে।
তাঁর জীবন কাহিনি কোনো এক পত্রিকার হেডলাইন নয়, বরং এক নিরব অথচ দীপ্ত সংগ্রামের মহাকাব্য। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের রাজনীতির সামনে মাথা নত না করে মোস্তাক আহমেদ ছিলেন তৃণমূল বিএনপির সুরক্ষাকবচ। বারবার হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক চলার পথ রক্তাক্ত হয়েছে ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচারে, তবু তিনি থেমে যাননি। কারণ তাঁর চোখে ছিল একটি স্বপ্ন—সোনার বাংলাদেশ গড়ার, একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণের, যেখানে জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের জয় হয়। তিনি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতাই নন—তিনি একজন সাংগঠনিক কারিগর। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে দলের দুর্দিনে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে তাঁর সাংগঠনিক প্রজ্ঞা ও আন্তরিকতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দুর্যোগে যেমন প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় মেলে, তেমনি বিএনপির দুঃসময়ে মোস্তাক আহমেদ ছিলেন এক অবিচল, দৃঢ় প্রহরী।
রাজনীতি ছাড়াও তিনি একজন রুচিশীল, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে মাটির টান, এবং মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প শোনার ক্ষমতা তাঁকে মানুষের খুব কাছে নিয়ে গেছে। বোয়ালখালীর আনাচে-কানাচে, গ্রাম-গঞ্জে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ঈদের শুভেচ্ছা দিচ্ছেন, খোঁজ নিচ্ছেন, কথা বলছেন—এ যেন কোনো রাজনীতিবিদের আচরণ নয়, বরং এক সুহৃদ, আত্মীয়ের মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সম্প্রতি তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন—তিনি বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, বায়েজিদের এই গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। এখন প্রশ্ন, মনোনয়ন কার হাতে যাবে, তা নয়—প্রশ্ন হলো, কার কাঁধে ভর করে এই জনপদ উন্নয়নের মহাসড়কে পা রাখতে পারবে? উত্তরটি সুস্পষ্ট—মোস্তাক আহমেদ। বোয়ালখালীবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, চরম বেদনার প্রতীক কালুরঘাট সেতু—যার কথা বলা হয়, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, অথচ বাস্তবতা হয়ে ওঠে না—সেই সেতু নির্মাণের বাস্তব দাবিকে সংসদে তুলে ধরতে পারবেন মোস্তাক আহমেদ। তিনি এই অঞ্চলের সন্তান, এখানকার গন্ধে গড়া মানুষ, যিনি বোয়ালখালীর প্রতিটি সমস্যা জানেন হৃদয়ের গভীর থেকে। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, নেতৃত্বের দক্ষতা, আর মানুষের ভালোবাসার শক্তিই তাঁকে এনে দিতে পারে সেই দায়িত্ব, যা দিয়ে বদলে যাবে এই জনপদের ভাগ্য।
সত্যিকার অর্থে এখন সময় এসেছে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। প্রয়োজন এমন একজন নেতার, যিনি শুধু নির্বাচনে জিতবেন না, বরং মানুষের পাশে থাকবেন, উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন, গণতন্ত্রের পতাকা তুলে ধরবেন মাথা উঁচু করে। সেই মানুষটি মোস্তাক আহমেদ। তাই বোয়ালখালীবাসীর প্রতি আহ্বান—এই আস্থার, অভিজ্ঞতার এবং আদর্শের মানুষটির হাত ধরে গড়ি একটি আধুনিক, নিরাপদ ও উন্নত বোয়ালখালী। সময় এসেছে পরিবর্তনের, সময় এসেছে মোস্তাক আহমেদকে বিজয়ের মুকুট পরানোর। মোস্তাক আহমেদ বিগত সময়ে বাংলা টিভির “চট্টগ্রাম সংলাপ” টকশো অনুষ্ঠানে অসংখ্যবার অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমার উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও মনোভাব সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তার মনটা অত্যন্ত সাদা, এবং তিনি একজন সাদামনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনৈতিক চেতনা এবং নৈতিকতা বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক গভীর। তার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ধরণের অসীম সততা ও দেশপ্রেম ফুটে ওঠে, যা খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়।
এমনকি, তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অনেক কিছু আমি জানি, যা সাধারণত অনেকের কাছে অজানা। তিনি দেশের জন্য একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে মনোযোগী, এবং এর জন্য তিনি যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েছেন, তা অনেকেই জানেন না। এই কারণে, তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দৃষ্টিসমূহ গভীর এবং সংবেদনশীল। তার চিন্তাধারা থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং তার সাহসিকতা ও দেশপ্রেম দেখে, আমি বিশ্বাস করি, তিনি যে কোন অঙ্গনে সফল হবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট