পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ ১০টি ইউনিয়নে ৩২ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। বর্তমানে ৩ জন ডাক্তার কর্মরত রয়েছে। ২৯ জন ডাক্তারের পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিক বার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহ পাচ্ছেনা। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীদের মধ্যে অস্তোষ দেখা দিয়েছে। ৩২ জন ডাক্তারের পরিবর্তে বর্তমানে ডাঃ সাম্মী আক্তার, ডাঃ আব্দুর রহমান সোহান ও ডাঃ পিয়াস বৈদ্য কর্মরত আছেন। ডাঃ তানজিলা বেগম কর্মরত থাকলেও তিনি মাতৃত্ব জনিত ছুটিতে আছেন। পীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। ৩ জন ডাক্তার দিয়ে দায় সারা ভাবে হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন এ হাসপাতালে ২৫০/৩০০ জন রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন। ডাঃ না পেয়ে অনেকেই মনোক্ষুন্ন হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়। একদিকে সময় নষ্ট অপর দিকে অর্থ অপচয় এবং রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। গরীব ও অসহায় রোগীরা অর্থের অভাবে অন্য জেলায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে পাচ্ছেনা। ফলে তাদের দুঃখ ও কষ্টে শেষ নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এ সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সংকট রয়েছে। ডাক্তার না থাকায় জরুরী বিভাগেও গুরুতর আহত রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেনা। চিকিৎসার অভাবে ২০২৫ সালে ১লা জানুয়ারী থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এ হাসপাতালে ১৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জরুরী বিভাগে রোগীরা চিকিৎসার জন্যে এলে দ্রুত তাদেরকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে রোগীরা এ হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জব্বার জানায়, ডাক্তার সংকটের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করেছি। এ হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার পোষ্টিং দেওয়ার জন্যে সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।