চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরী এলাকায় একটি পুরনো জনচলাচলের পথকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত চলাচলের এই পথটি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ ও প্রশাসনিক নির্দেশনার পরও স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী ফজল করিম ও তার পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার চলাচলের পথটি দখল করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর করলে ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে উপস্থিত হয়ে ওই প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ দেন বিবাদীপক্ষকে। কিন্তু তার একদিন পরই আবার সেই পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি জানান, “সরকারি আদেশের যেন কোনো মূল্যই নেই বিবাদীদের কাছে। তারা প্রকাশ্যে ইউএনও মহোদয়ের সিদ্ধান্তকে উপহাস করে আবারো গোবর, ময়লা এবং মাটি দিয়ে পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি হুমকি ধমকি দিয়ে আমাদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করে চলেছে।” এই ঘটনার পরেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়েও। ভুক্তভোগী পরিবার মনে করছে, প্রশাসনের এই ধরণের নিষ্ক্রিয়তা দুর্বৃত্তদের আরও সাহসী করে তুলছে এবং আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।
আইয়ুব আলী বলেন, “আমি সাধারণ মানুষ। আইন মানি, শান্তিতে বাঁচতে চাই। কিন্তু প্রশাসন আমাদের কথা না শুনলে কোথায় যাব? আমি বারবার অভিযোগ দিয়েছি, অথচ কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিবাদীরা প্রকাশ্যে ইউএনও’র আদেশ অমান্য করছে, অথচ প্রশাসন নীরব।”
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এটি শুধুমাত্র একটি পারিবারিক বিবাদ নয়, এটি সাধারণ জনগণের চলাচলের অধিকার হরণের চিত্র। এই ঘটনায় সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এলাকার অন্যান্য জায়গায়ও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা ও বিবাদীপক্ষের প্রকাশ্য দাপট দেখিয়ে দেয়, একজন সাধারণ নাগরিকের ন্যায্য অধিকার কতটা উপেক্ষিত হতে পারে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না এবং তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তারা ইউএনও মহোদয়ের কাছে আবারও আকুল আবেদন জানিয়েছেন, সরকারি আদেশ অমান্যকারী বিবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলাচলের পথটি পুনরায় নিরবিচারে ব্যবহার নিশ্চিত করতে।