1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চলন্ত বাসে ১৪ বছরের কিশোরীর গণধর্ষণ: একটি জাতির লজ্জার ইতিহাস পাহাড়ের নীরবতায় শব্দের জন্ম আশাশুনিতে ওয়াজেদ ফকির সরকারি খাস জমি নিজের নামে নিয়ে বিক্রি করায় এলাকা বাসীর ক্ষোভ! মুজিবনগর সরকার: স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা-লিপি তেকোটা প্রতিভার আয়োজনে বর্ষবরণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নাছিম: সত্যের পথের এক নিবেদিত সংগ্রামী সিটিজি প্রপার্টি স্পোর্টস একাডেমি আয়োজিত ফুটসাল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের জন্য ৩৫,০০০ টাকা পুরস্কার! ওসি মোঃ আফতাব উদ্দিনের দক্ষ নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার বেঈমানের ভিড়ে একলা সত্যের যোদ্ধা: আমি নাছিম সাদিয়ার আম্মু এবং এক অচেনা হৃদয়দ্বার

বাটালি পাহাড়ে পহেলা বৈশাখ: ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশের কণ্ঠে চট্টগ্রামের গর্ব ও সম্ভাবনার কথা

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামকে ঘিরে এক হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য রাখলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ। তিনি বললেন, “আমি চট্টগ্রামকে নিয়ে গর্ববোধ করি—আমাদের বাংলাদেশে একটি চট্টগ্রাম আছে, যে চট্টগ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। তবে আমার দুঃখ, চট্টগ্রামে একটি রমনা পার্ক নেই। এই বাটালি পাহাড় আপনাদের, আমরা শুধু মেহমান। আপনাদের সম্পদ আপনারা যত্নে রক্ষা করুন, আমরা পাশে থাকবো।” তাঁর এই কথাগুলো শতায়ু অঙ্গনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ও সংগঠনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যেন নতুন আশার বার্তা হয়ে ধ্বনিত হলো।
গতকাল বাটালি হীলের চূড়ায় শতায়ু অঙ্গনের মাঠে আয়োজন হয়েছিলো বাংলা নতুন বছরের বরণ উৎসব। পহেলা বৈশাখের সকালে বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস আর আবেগ মিশে এক অনন্য আয়োজনের জন্ম দেয়। সকাল ৮টায় সংগঠনের সভাপতি জাকির উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। একইসাথে পালিত হয় সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী। ১৯৭৫ সালে আজ্জাদ আলীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের স্মারক হিসেবে কাটা হয় ৫০ কেজি ওজনের এক বিশাল কেক। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিরা একে একে স্মৃতিময় ও সাংস্কৃতিক আলোয় উদ্ভাসিত করে তোলে পুরো দিনটিকে। আলিফা পুতুলসহ বেশ কয়েকজন গুণী শিল্পী শুদ্ধ বাংলা গানে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেন। শুরুতেই পান্তা-ইলিশ পরিবেশন আর পরে গানে, কথায় ও হাসি-আনন্দে ভরে ওঠে শতায়ু অঙ্গনের প্রাঙ্গণ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ বলেন, “আমি ব্যথিত হই, যখন দেখি পাহাড়ে ওঠার পথে পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। এই অপরিচ্ছন্নতা চট্টগ্রামের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। আপনারা চাইলে একটি যৌথ উদ্যোগ নিতে পারেন—গণপূর্ত, পুলিশ ও শতায়ু অঙ্গনের সমন্বয়ে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করুন। দীর্ঘমেয়াদে বাটালি পাহাড়ের সৌন্দর্য রক্ষা ও উন্নয়নের কাজ হোক। আমি বদলি হয়ে যাবো, অন্য কেউ আসবে, কিন্তু কমিটি থাকলে কাজ চলবে নিয়মিত।” গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আ ক ম জাহাজালাল মজুমদার,পহেলা বৈশাখের ইতিহাস নিয়ে হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন নাদের খান,তিনি শতায়ু অঙ্গনে একজন নিবেদিত প্রাণ পুরুষ তিনি বলেন এই বাটালি পাহাড় ও শতায়ু অঙ্গনের জন্য যেকোনো কিছু করতে আমি বিগত সময়ের ছিলাম এখনো আছি, আপনারা এগিয়ে যান,
উপদেষ্টা হুমায়ুন সাহেব, প্রফেসর জসিমউদদীন খান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীরসহ আরও অনেকে। মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন সাহেব বলেন, “এবার যেন বৈশাখের মধ্যে এক নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। দীর্ঘদিন মানুষ এমন করে হাসতে পারেনি, আজ তারা পারছে।”
শতায়ু অঙ্গনের সভাপতি জাকির উল্লাহ বলেন, “আমি সভাপতি নই, এই সংগঠনের একজন সেবক। প্রতিদিন যারা সকালে হেঁটে নিজেদের সুস্থ রাখেন, তাদের জন্য এই মাঠ সাজিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব। তবে আমরা দুঃখিত, কখনো আমাদের শব্দে কারও ঘুম ভাঙে—তাতে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রাশেদী অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এই ভালোবাসা আর সমর্থন আমাদের আগামী পথচলার অনুপ্রেরণা।”
আয়োজনটি অত্যন্ত সাবলীলভাবে পরিচালনা করেন প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানম।
বাটালি পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বাংলা নববর্ষ আর সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তীর এই যুগল উৎসব যেন শুধুই উৎসব নয়, এক নবজাগরণের বার্তা। ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশের প্রস্তাবিত ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস, জাকির উল্লাহর নেতৃত্বে সক্রিয় সংগঠনের বাস্তবায়ন ক্ষমতা ও আগত অতিথিদের আন্তরিক উপস্থিতি—সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের এই সকাল হয়ে উঠলো এক অনন্য ইতিহাস। প্রতিবদকের কথা- চট্টগ্রামকে ঘিরে যখন কথা বলেন ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ, তখন বোঝা যায়—এ শুধু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বক্তব্য নয়, বরং একজন মননশীল মানুষের হৃদয়স্পর্শী উচ্চারণ। তাঁর কণ্ঠে ছিল একরাশ গর্ব, একফোঁটা আক্ষেপ আর অসীম ভালোবাসা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটি চট্টগ্রাম আছে—এই চট্টগ্রাম একদিন গোটা দেশের গর্ব হয়ে দাঁড়াবে।” কথাটি শুনে বোঝা গেল, তিনি চট্টগ্রামকে দেখছেন সম্ভাবনার চোখে, অনুভব করছেন তার গহীনে থাকা ঐতিহ্য ও শক্তিকে। আর যখন তিনি বলেন, “এই বাটালি পাহাড় আপনাদের, আমরা মেহমান”—তখন যেন পাহাড়-ঘেরা চট্টগ্রামের মানুষ এক মুহূর্তের জন্য হলেও নতুন করে আত্মপরিচয়ের সন্ধান পায়। এমন বিনয়, এমন সম্মানবোধ, এমন সংবেদনশীলতা সচরাচর একজন প্রশাসকের কণ্ঠে শোনা যায় না।
তাঁর চোখে পড়েছে পাহাড়ের ওপর জমে থাকা ময়লা, অযত্ন আর অবহেলা। কিন্তু তিনি শুধু সমালোচনার মধ্যে আটকে থাকেননি। তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন—একটি যৌথ কমিটির স্বপ্ন, যেখানে পুলিশ, গণপূর্ত এবং শতায়ু অঙ্গনের মানুষ একসঙ্গে কাজ করবে বাটালি পাহাড়ের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে। শুধু তা-ই নয়, তিনি একটি স্থায়ী কাঠামোর কথা বললেন, যেখানে কেউ বদলি হলেও পরিকল্পনা বদলাবে না—চলতে থাকবে চট্টগ্রামকে সুন্দর করার নিরবিচার প্রচেষ্টা।
এ যেন শুধুই দায়িত্ব পালন নয়, এক ধরনের ভালোবাসার প্রতিফলন। তাঁর কথায় বোঝা যায়, তিনি চট্টগ্রামকে দেখছেন নিজের শহরের মতো, যেখানে সবকিছু গোছানো, পরিচ্ছন্ন ও প্রাণবন্ত দেখতে চান। এই আন্তরিকতা, এই দূরদর্শিতা এবং মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ—তাঁকে শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তা নয়, একজন চেতনার আলোকবর্তিকা হিসেবেও তুলে ধরেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট