1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
চোলাই মদ, অস্ত্র আর নদী ডাকাতির একক সম্রাট: বোয়ালখালীর অভিশাপ ওয়াসীম হাটহাজারী পৌরসদরে মাস্ক পরে দোকানে ডা’কাতি, সেনাবাহিনীর এক সদস্য গু’লি’বিদ্ধ কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং চক্রের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিলো যৌথবাহিনী আটক ৯ লোহাগাড়ায় বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপন :র‌্যালি, সমাবেশ ও প্রাণবন্ত আলোচনা সভা অসহায় নারীদের ছবি প্রকাশ মানবতা ও আইনের চরম লঙ্ঘন” অজুফা আকতার সাথী: সুরের জাদুকরী এক সন্ধ্যা ও পাহাড়ের নিবেদন বান্দর বনের বিবেকবান পথিক: কাজী মোঃ মজিবর রহমান নীলাচলের নীরবতা নীলের বাঁকে সবুজ গান — এক উন্মুক্ত জীবনের দিনে উদয় জ্যোতি বড়ুয়ার জন্মদিনে ত্রৈমাসিক অরুণোদয়ের মানবিক উদ্যোগ

জীবনে বেঁচে থাকতে হলে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন তা হল- বই বই এবং বই- লিও টলস্টয়

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

জীবনে বেঁচে থাকতে হলে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন
তা হল- বই বই এবং বই- লিও টলস্টয়।

বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক সেক্সপিয়রের ২৩ এপ্রিল জন্মদিনে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আর্ন্জাতিক গ্রন্থ দিবস। এ বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বই-এর উপর এ সামান্য লেখাটি পাঠকদের উদ্দেশ্যেই লেখা। বিশ্বখ্যাত দার্শনিক লিও টলস্টয়ের ভাষায় জীবনে বেঁচে থাকতে হলে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে বইয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে নতুনভাবে বইয়ের নেশায় বই পড়ে যাচ্ছি।
বইয়ের কথা লিখতে বসে ইচ্ছা হচ্ছিল পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি যদি পড়তে পারতাম। বিশ্বের প্রাচীন গ্রন্থ ‘সাম রিয়ান পাপিয়াই। ৩৭৫ সালের দিকে অ্যারামির ভাষায় হাতের লেখার বই পুস্তকটি জেরিকো থেকে ৯ মাইল উত্তরের এক চাষি পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া পৃথিবীর ইতিহাসের প্রাচীন বৃহত্তম মহাকাব্যÑইলিয়াড, ওডিসি, রামায়ণ ও মহাভারত এবং স্যার উইনস্টন চার্চিলের বৃহত্তম জীবনী গ্রন্থ ও আমাদের মাতৃভাষার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস অন্নদাশংকর রায় এর ‘সত্যাসত্য’ বিমল মিত্র’র কড়ি দিয়ে কিনলাম, আবু জাফর শামসুদ্দিন রচিত ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ এবং বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘লাওসেন ডে বলে ভোলান্তে’ ‘ম্যান অব গুইউইন’ এবং জাপানের বিশিষ্ট লেখিকা মোহাচি ইয়া খাওকার অন্যতম উপন্যাস ‘টেকুগাওয়া ইয়ে আসু’। যে উপন্যাসটি দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবত দৈনিক পত্রিকার সাময়িকীর পাতায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিলো। বিশ্বের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী লেখক রবার্ট লুইস স্টিফেনসনের বিখ্যাত গল্প গ্রন্থ ‘গুপ্তধনের দ্বীপ’।
এদেশের শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বই পড়া ও বই লেখা এবং বাংলা বই রচনা ও প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে মিশন অবিস্মরণীয় অবদান রাখতে সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা দেখে আমি বই পড়া ও লেখায় মনোযোগ দিলাম।
অনেকে আমাকে বইপোকা বলে! কেন বলে জানি না। আমি কিন্তু একজন বইখোর। বইয়ের ক্ষুধা আমার একটু বেশি। হাতের কাছে যে কোন বই পেলেই আমি গিলে ফেলি। অন্যান্য খাদ্যের মত বই কেউ খেতে পারে না। বইয়ের কথা লিখতে গিয়ে অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। পাঠ্যজীবনে আমি অর্থের অভাবে নতুন পাঠ্যবই কিনে পড়তে পারি নি। প্রায় সময় কোন না কোন পুরাতন বই কিনে পড়তে হয়েছে। তবে হ্যাঁ পাঠ্য বইয়ের কোন অভাব এখন আর নেই। আমার বাসায় এখন পাঠ্য বইয়ের বাইরে কয়েক লক্ষ টাকার বই রয়েছে। যেখানে পাঠোপযোগী বই পেয়েছি- সংগ্রহ করেছি। এক সময় শহরের সরকারি গ্রন্থাগারে যাতায়াত করতাম। পাশাপাশি বন্ধুর ব্যক্তিমালিকানাধীন লাইব্রেরিতে আড্ডায় বসতাম। বিশেষ করে ৮৭/৮৮ সালের দিকে লালখান বাজার হাইওয়ে রোডস্থ শাহ গরীব উল্লাহ লাইব্রেরিতে বসে বসে পাঠ্য বইয়ের মত গল্প বই পড়তাম এবং হাতের কাছে যা-ই পেতাম তা-ই নিয়ে আসতাম। ভাল-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা ছিল না বটে তবে ভাল লাগা না লাগার অনুভূতি ছিল না। প্রায়ই সময় অপেক্ষা করতাম কবে ভালো লেখকের নতুন লেখার বই প্রকাশ হবে। কখন লাইব্রেরিতে আবার বসব তার জন্য অধৈর্য হয়ে ওঠতাম। বইয়ের ক্ষুধা মেটাতাম লাইব্রেরিতে গিয়ে। কত আবোল তাবোল বই পড়েছি এ নিষিদ্ধ প্রসিদ্ধ কোন বইও বাদ পড়েনি। পরবর্তীকালে যখন অনিশ্চিত পায়ে লেখালেখির খেলায় জড়িয়ে পড়ি তখন আবার শুরু হয় অন্য রকম বই পড়া। কোন একটি বিশেষ বই পড়তে গিয়ে হয়তো আটকে গেলাম ভালো লাগার মায়াজালে। তখন সে বিষয়ে আরও বই না পড়লেই নয়। হাতের নাগালে যা পাওয়া যায় পড়তে হবে সবই। দরকার হলে হাত বাড়াতে হবে ইন্টারনেট বা সরকারি গ্রন্থাগার অথবা পরিচিত লাইব্রেরিতে। এই পড়াকে আমি মনে করি ‘কাজের পড়া।’ কেননা, সব পড়ার পর তাগিদ অনুভব করি। এই পড়ার আনন্দ অন্যদের মধ্যে সঞ্চারিত করার। দুই মলাটের সব ভাবনা পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার। এভাবে রচিত হচ্ছে এবং হয়েছে আমার সব প্রবন্ধ ও গ্রন্থ। আমার বইয়ের পাতায় মৌলিকতা বলতে তথ্য সমাবেশ বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি আর নিজস্ব ভাব ও ভাষা। বাদ বাকি যা তার প্রায় সবটুকুই ‘কাজের পড়া’র সূত্রে অর্জিত। আর সত্যি বলতে কী, ‘কাজের পড়াতেই কেটে যাচ্ছে জীবনের বেশির ভাগ সময়। তবু বাল্যকালের সেই নেশা যাবে কোথায়? কাজের পড়ার ফাঁকে ফাঁকে সুযোগ পেলেই দৈনিক পত্রিকার বিশেষ লেখাগুলো হাতে তুলে নিই। আপাতত অকাজের কোনও বই পড়া হয় না। সে পড়া শুধু পড়ার আনন্দেই পড়া। তার পাশাপাশি সবিনয়ে বলি, বই লেখার মতো কোন দুঃসাহস ছিল না।
ইতোমধ্যে একাধিক বই লিখেছি। বই লেখার জন্য দীর্ঘ সময় প্রস্তুতি নিয়েছি। সেই আনন্দে পাঠের যৎসামান্য নিয়ে বই লেখার মতো কঠিন কাজে ব্রতী দিয়েছি। বই লেখার কোন সময় মূল পরিকল্পনা ছিল না। নেই কোন বিষয় কেন্দ্রিকতা।
বই আমাদের চিত্ত এবং চেতনাকে প্রশান্তি দেয়। জ্ঞানের দুয়ার উন্মুক্ত করে। কাছের ও দূরের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সখ্যতা সৃষ্টির একমাত্র অবলম্বনই বই। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের ব্যস্ত জীবনে সান্ত্বনার হাত বাড়িয়ে বন্ধুর মতো যে কাছে ডেকে নেয় তা বই। বই মানুষকে বাঁচতে শেখায়। লিও টলস্টয় তাই বলেছেন, জীবনে বেঁচে থাকতে হলে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন। তা হলো বই, বই এবং বই। বই বরণীয় মানুষের স্মরণীয় সৃষ্টি। একজন চিন্তাশীল মানুষের মনোরাজ্যের উজ্জ্বল অনেক স্মৃতিকে ম্লান করে দেয় কিন্তু যে বই এই স্মৃতিগুলোকে বুকে ধারণ করে রাখে সময় তাকে স্পর্শ করতে পারে না। বরং সময়ের সকল চলমানতাকে উপেক্ষা করে স্মৃতির ভারে সাজিয়ে অবিস্মরণীয় করে তোলে।
বই আগামী দিনের সময়ের কাছে অতীতের এক বিমূর্ত চিত্র তুলে ধরে। এ চিত্রের দর্পণে আমরা দেখি আমাদের অতীত। আমাদের বর্তমান এ নির্বাক চিত্র কখনো ইঙ্গিতে দেখিয়ে দেয় দূর ভবিষ্যতকে। আমরা ভবিষ্যতকে দেখার চেষ্টা করি বর্তমান আর অতীতের প্রেক্ষাপটে। বই এভাবে আমাদের জীবনকে অতীত আর বর্তমানের যোগসূত্র ঘটিয়ে ভবিষ্যতকে দেখার ও জীবন জগতকে নির্মাণ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই বই আমাদের জীবন, জগৎ ও সভ্যতার মেলবন্ধনের দ্বিধাহীন দলিল। অন্য দিকে বই মেলা প্রসঙ্গে কথা বলতে হয়-
সারাদেশে যে কত ধরনের মেলা বসে তার কোন ইয়ত্তা নাই। কিন্তু সব মেলার কথা আমার মনে না থাকলেও বইমেলার কথা আমি জীবনেও ভুলব না। বই মেলার কথা ভুলতে না পারার অনেক কারণের মধ্যে বিশেষ হলো- প্রেম করে আপন মানুষকে গোপনে বিয়ে করে বউ নিয়ে প্রথমে ঘুরতে গিয়েছিলাম স্টেডিয়ামে, তৎকালীন অনুষ্ঠিতব্য বইমেলায়! ছোটবেলা হতে আমার অভ্যাস ভালো ছিলো না। কারণ আমি একজন ‘নেশাদার বইখোর’ আমি প্রতিদিন বইয়ের নেশার মধ্যে ডুবে থাকি। সেই সুবাদে আমার জন্য বইমেলা অতি প্রিয় এবং মজার। তাছাড়া বইমেলায়ও ঘুরতাম। ঘুরতে ঘুরতে কত কি দেখেছি তা সবকিছু আমার মনে নেই।
কবে কোথায় যেন এক মহিলা সাহিত্যিককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি সাহিত্যিক হতে গেলেন কেন? ভদ্রমহিলা নির্বিকার মুখে বলেছিলেন, বিছানায় শুয়ে পড়ার মত একজন মহিলার পক্ষে এটা একমাত্র সম্মানজনক কাজ।
ভদ্রমহিলার সাহস ছিল। সব লেখক-লেখিকা এরকম সাহসী হয় না। তবে এই মুহূর্তে অন্য একজন সাহসী লেখকের কথা মনে খুব পড়ে। সেই লেখককে অনুরূপ এক সাক্ষাৎকারে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন করা হয়েছিলো। লেখক ভদ্রলোক সাক্ষাৎকারের শেষভাগে চূড়ান্ত কথাটি বলেছিলেন। তিনি কবুল করলেন পনেরো বছর লেখার পর আমি টের পাই সাহিত্যিক হওয়ার জন্য যে প্রতিভা, কল্পনাশক্তি বা ভাষাজ্ঞান প্রয়োজন সেসব কিছুই আমার নেই। আমি নেহাতই এক এলেবেলে লেখক। এরপরে বাধ্য হয়ে প্রশ্নকর্তা জানতে চাইলে তা হলে তারপরেও লিখছেন কেন?
ভদ্রলোক হেসে জবাব দিলেন কি করবো। এখন যে আমার নাম হয়ে গেছে। আমার বই হাজার হাজার বিক্রি হচ্ছে। কার বই, কোন বই, কেন বিক্রি হয় কেন বিক্রি হয়না। তার কোন সরল সূত্র নেই।
এবছর যে বই ছাপাতে না ছাপাতে এডিশন হয়ে যাচ্ছে। সামনের সালে সে বই সারা বছরে পাঁচশ কপি বিক্রি হতে পারে। যে বই লেখকের জীবিত অবস্থায় সবসুদ্ধ মাত্র দুশো কপি বিক্রি হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর পরে সেই বই দৈনিক দুশো কপি করে বিক্রি হতে পারে। আর পাঠকের কাছে বই ভাল লাগা না লাগা সেও এক তাজ্জব ব্যাপার!
শুধু মানুষ যে বই পড়ে তা কিন্তু নয়। এক বিখ্যাত উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছিলো। সিনেমা দেখতে এক বৃদ্ধা ভদ্রমহিলা তাঁর কুকুরকে সঙ্গে এনে আলাদা টিকিট কেটে পাশের সিটে বসিয়েছিল। তাঁকে হলের লোকেরা প্রশ্ন করেছিলো, কুকুর কেন? ভদ্রমহিলা ব্যাখ্যা দিয়েছিল, আমি যখন বইটা পড়ি তখন টাইগার, মানে আমার এই কুকুরটাও বইটা আমার সঙ্গে পড়েছে। ওরও বইটা খুব ভাল লেগেছে। তাই সিনেমাটাও টাইগারকে দেখাতে নিয়ে আসলাম।
গতবারের বইমেলায় একটি বই কিনে আমি ঠকেছি। বইটির নাম উদ্ভট শ্লোক সংগ্রহ। দামও কম নয় আশি টাকা। এটি অতি সম্ভ্রান্ত ও প্রাচীন প্রতিষ্ঠান সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার থেকে বইটি প্রকাশিত এবং কবিভূষণ শ্রীপূর্ণ চন্দ্র দে কাব্যরতœ উদ্ভট সাগর এই শ্লোকগুলি সংগ্রহ করেছিলো সম্ভবত।
যে যা হোক। ঢাকার বই মেলায় প্রচারিত হ্যান্ডবিলে এবং বইটি প্রচ্ছদে লেখা আছে। কালিদাস, বররুচি, ভবভূতি, বেতালভট্ট প্রভৃতি পুরুষ কবি এবং নিবিড়-নিতম্বা, বিকট-নিতম্বা, বিজ্জকা প্রভৃতি স্ত্রী কবিগণের রচনা।
আমার মত হালকা রচনার কারিগরকে সর্বদাই মালমশলার জন্যে এরকম বইয়ের সন্ধানে থাকতে হয়। সুতরাং বইটি দেখতে পেয়ে আমি কিনে ফেলি। এবং বাসায় ফিরে এসে বইটি খুলে পড়তে গিয়ে বুঝতে পারলাম আমি ঐ বইয়ের কাছে জব্দ হয়ে গেছি। উল্লেখ্যযোগ্য কবি-বা পণ্ডিতদের কোন শ্লোকই এই বইতে নেই। অন্যান্য শ্লোক যা আছে তাকেও খুব একটা উদ্ভট বলা কঠিন। আমার সন্দেহ হয়। সংগ্রহকারী শ্রীপূর্ণচন্দ্র দে উদ্ভট সাগরই ওগুলির রচনাকার।
অবশ্য বইটির মুখবন্ধে তখনকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন যে, শ্লোকের সঙ্গে রচয়িতার নাম দেওয়া হল না। কারণ ওই সব রচয়িতাই যে ওই কবিতাগুলির স্রষ্টা তার কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।
চমৎকার! কিন্তু তা হলে বিজ্ঞাপনে প্রচ্ছদে এই সব কবির নাম কেন?
জীবনে আমি কত বই পড়েছি তবুও বইমেলাতে গেলেই ইচ্ছা হয় মেলার সব বই কিনে ফেলি এবং একসাথে সব বই পড়ে ফেলি। মেলা ছাড়াও আমি প্রতিদিন কোন না কোন একটা বই কিনে থাকি বিশেষ করে চেরাগীপাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী ‘বাতিঘর’ ও ‘নন্দন’ এবং ‘গ্রন্থনিলয়’ হতে বিপুল সংখ্যক বই কিনে থাকি। বইকেনা আমার বড়ই নেশা, বই পড়া অতি নেশা বই না কিনে এবং না পড়ে ঘুমাতে পারি না। পৃথিবীর সব মানুষ কিন্তু বইপ্রেমী। তবে আমাদের দেশের মানুষরা কিন্তু বইয়ের প্রতি দিন দিন আকৃষ্ট হচ্ছে। বিগত সময় এখনকার ছেলে মেয়েদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বই মেলা থেকে অনেক পাঠক বই দেখে গিয়ে বাসা অথবা সাইবার ক্যাফে গিয়ে মনোনীত বই সমূহ ইন্টারনেটের বদৌলতে পড়ে ফেলছে তাতে মেলায় সরাসরি বিক্রি তুলনামূলক কম হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট