"সিএমপি চান্দগাঁও থানার সাহসী অভিযানে হত্যাসহ অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধে জড়িত ৪৩ আসামি গ্রেফতার: আইনের শাসনে ওসি আফতার উদ্দিনের অনন্য দৃষ্টান্ত""
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)-এর কার্যক্রমে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন এক গতি এসেছে। বিশেষ করে চান্দগাঁও থানার অধীনে অপরাধ দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যা ঘটছে, তা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উৎস। এ সাফল্যের পেছনে আছেন এক নির্ভীক ও মানবিক নেতৃত্ব—চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফতার উদ্দিন। তাঁর সাহসী নেতৃত্বে গত কয়েক দিনে পুলিশ হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা ও সরকারের কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে জড়িত মোট ৪৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এ অভিযান সিএমপির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি: সাহস, নিষ্ঠা ও মানবিকতার সমন্বয়-
ওসি আফতার উদ্দিনের নেতৃত্বে গৃহীত প্রতিটি অভিযানে শুধু কৌশলগত পরিকল্পনা নয়, বরং একজন সত্যিকারের জনগণের রক্ষকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। তাঁর কর্মকৌশলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—অপরাধ দমনে কঠোরতা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। আফতার উদ্দিন মনে করেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে অপরাধের বিরুদ্ধে আপসহীন থাকতে হবে; আবার জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে হতে হবে মানবিক, সহানুভূতিশীল। তিনি শুধু একটি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা নন; বরং এই থানা আজ হয়ে উঠেছে সমাজে আইনের প্রতি আস্থার প্রতীক, যেখানে সাধারণ জনগণ নিজেদের সমস্যা নিয়ে নিরাপদে আসতে পারেন। মাদক, সন্ত্রাস, ছিনতাই, ইভটিজিং কিংবা কিশোর অপরাধ—কোনো ক্ষেত্রেই তিনি নরম মনোভাব দেখাননি। আবার অপরাধে জড়িত ব্যক্তি যদি সংশোধনের সুযোগ চায়, তাহলেও তিনি মানবিক আচরণ প্রদর্শন করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
কঠোর অভিযানের সফলতা: ৪৩ অপরাধীর গ্রেফতার-
সম্প্রতি সিএমপির কমিশনার হাসিব আজিজের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনার আলোকে চান্দগাঁও থানায় পরিচালিত একাধিক বিশেষ অভিযানে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড, সরকারী কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা ইত্যাদি অপরাধে জড়িত ৪৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিটি অভিযান ছিল ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু অফিসার ইনচার্জ আফতার উদ্দিনের নেতৃত্বে তা সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এই অভিযানগুলিতে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) জায়েদ আব্দল্লাহ বিন ছরওয়ার, এসআই মোঃ ফয়সাল, এসআই নুরুল হাকিম, তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করেন। অভিযান পরিচালনার সময় কখনো রাতে, কখনো ভোররাতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়, যাতে অপরাধীরা পালিয়ে যেতে না পারে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায়ও গ্রেফতার করা হয় একাধিক আসামি। অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের পরিকল্পনায় লিপ্ত অপরাধীদের আটকের মাধ্যমে চান্দগাঁও থানা প্রমাণ করেছে—আইনের হাত লম্বা এবং অপরাধী কোনোভাবেই রেহাই পাবে না।
চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে অটল থেকেছেন আফতার উদ্দিন-এই ধরনের অভিযানের সময় চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক। আসামিরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করে, আত্মগোপন করে নিরাপদ আশ্রয়ে লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আফতার উদ্দিনের দৃঢ় মনোবল ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই একের পর এক অভিযানে সফলতা এসেছে। তিনি অপরাধ দমনে শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়া নয়, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সমাজের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা গ্রহণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
থানা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন: মামলা কেন্দ্র থেকে আস্থার কেন্দ্রে-চান্দগাঁও থানা এখন আর শুধুমাত্র মামলা নথিভুক্ত করার জায়গা নয়; এটি হয়ে উঠেছে জনগণের আস্থা ও আশ্রয়ের কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ কোনো সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে এখন দ্রুত সহায়তা পান। নারী, শিশু ও প্রবীণদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল আচরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। থানার পরিবেশ এখন আতঙ্ক নয়, বরং নির্ভরতার প্রতিচ্ছবি।
এছাড়া ওসি আফতার উদ্দিন মাদকবিরোধী সভা, কিশোর অপরাধ দমনে সচেতনতা কর্মসূচি, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা না গড়ে ওঠে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃপ্ত পদক্ষেপ- আফতার উদ্দিনের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কোনো চাকরির দায়িত্ব নয়; এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক অঙ্গীকার। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন মানুষ নিরাপদ ও নির্ভয়ে বাস করতে পারবে। তিনি চান, আইনের শাসন সমাজের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত হোক। এজন্য তিনি কোনো রাজনৈতিক চাপ কিংবা অন্য কোনো প্রভাবকে আমলে নেননি।
ওসি আফতার উদ্দিন বারবার বলেছেন—
"অপরাধী যত বড়ই হোক, তার পরিচয় কোনো বাধা নয়। অপরাধ করলেই তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।"
এই আপসহীন মনোভাবই চান্দগাঁও থানার কাজের গতিকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। এখন থানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উদ্যম ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন, যেটি থানার সামগ্রিক পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সমাজের দৃষ্টিতে এক সাহসী আইকন-
চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এখন আফতার উদ্দিন মানে সাহসিকতার প্রতীক। যেখানে অন্য কেউ হয়তো সংকোচ করতেন, সেখানে তিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর এই সাহস, সততা এবং দায়িত্ববোধ শুধু পুলিশের জন্য নয়, সমগ্র সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি একটি অনুপ্রেরণার নাম। অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষাও যেন তার কর্মকাণ্ড থেকে মেলে। সাধারণ মানুষ মনে করেন, যদি প্রত্যেক থানায় আফতার উদ্দিনের মতো একজন নেতৃত্ব থাকতো, তাহলে সমাজ অনেক আগেই অপরাধমুক্ত হয়ে উঠতো।
সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ-
যদিও এখন পর্যন্ত চান্দগাঁও থানার অর্জন প্রশংসনীয়, তবুও সামনে রয়েছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। নগরায়নের চাপে, সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং প্রযুক্তির অপব্যবহারে অপরাধের নতুন নতুন ধরণ দেখা দিচ্ছে। তবে ওসি আফতার উদ্দিন তার টিমসহ আগেভাগেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিনি চান্দগাঁও থানাকে দেশের অন্যতম মডেল থানায় পরিণত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সমাপ্তি: নেতৃত্বের পেছনের প্রেরণা- ওসি আফতার উদ্দিনের কাজের মূলমন্ত্র হলো—আইন সবার জন্য সমান, অপরাধের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম এবং জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ। তার এই দর্শন শুধু চান্দগাঁও থানাকেই নয়, গোটা চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশকে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে: "সাহস, সততা আর নিষ্ঠা থাকলে অসম্ভব কিছু নেই।" আজ আমরা যারা সমাজে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুবিচার চাই, আমাদের উচিত এই ধরনের সাহসী, সৎ এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্বের পাশে দাঁড়ানো।
আশা করি, ওসি আফতার উদ্দিনের মত নেতৃত্ব একদিন সারা দেশের প্রতিটি থানায় ছড়িয়ে পড়বে, এবং বাংলাদেশ হয়ে উঠবে এক সত্যিকারের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক রাষ্ট্র।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com