“সিএমপি চান্দগাঁও থানার সাহসী অভিযানে হত্যা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতে জড়িত ১০ আসামি গ্রেফতার: আইনের শাসনে আফতার উদ্দিনের অদম্য নেতৃত্ব!
পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সাহেবের সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং দিকনির্দেশনার আলোকে অফিসার ইনচার্জ আফতার উদ্দিন দৃঢ় সাহসিকতা ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন। অপরাধ দমনে তাঁর নেতৃত্বে গৃহীত কার্যক্রম জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে এবং একটি নিরাপদ সমাজ গঠনের পথকে সুগম করেছে। প্রতিটি অভিযানে তাঁর সাহসিকতা, সততা ও মানবিকতার ছাপ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায়
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযানে হত্যা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও অন্তর্ঘাতী কার্যকলাপে জড়িত পৃথক পৃথকভাবে মোট ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে এবং এসআই জায়েদ আব্দল্লাহ বিন ছরওয়ার, এসআই মোঃ ফয়সাল, এসআই নুরুল হাকিম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতার সম্পন্ন হয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংশ্লিষ্ট মামলার তিন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন—
১. শাহজাহান গাজী সোহাগ (৩৪),২. আবু সৈয়দ (৬০), ৩. মোঃ সোহেল (২৮)।
তাদের বিরুদ্ধে
১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/৩৪ এবং ৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা রয়েছে, সাথে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনের অভিযোগও যোগ হয়েছে। এছাড়া চান্দগাঁও থানায় পুলিশের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও সরকারী কর্তব্যে বাধা প্রদানসহ অন্তর্ঘাতী কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন—১. মোঃ সানি (২৮),
২. মহিম উদ্দিন (২৮), ৩. মোঃ শাহাদাত হোসেন (১৯), ৪. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৫), ৫. আব্দুর রহমান (২৫)।
তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩ ধারাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একইদিন রাতে চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুরপাড় এলাকা থেকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোঃ আমজাদ হোসেন ইমরান (৩৩) গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৪৩/৪৪৭/৩২৪/৩২৬/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রয়েছে। সিএমপি সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযান চলমান থাকবে এবং অপরাধ দমনে পুলিশের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
অফিসার ইনচার্জ আফতার উদ্দিন শুধু একটি থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নন, তিনি আজ এক সাহসী নেতৃত্বের প্রতীক। তাঁর নির্ভীকতা, সততা এবং জনসেবার অঙ্গীকার এই সমাজে নতুন করে আশার আলো জ্বালিয়েছে। প্রতিটি অভিযানে, প্রতিটি সিদ্ধান্তে তিনি প্রমাণ করেছেন—আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আপোষহীন মনোভাবই পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। আফতার উদ্দিনের নেতৃত্বে থানা আজ শুধুই মামলা বা অভিযোগের কেন্দ্র নয়; বরং হয়ে উঠেছে মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার আশ্রয়স্থল। তিনি অপরাধ দমনে যেমন কঠোর, ঠিক তেমনি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে জনগণের পাশে দাঁড়ান। তাঁর উদ্যোগে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাদক বিরোধী সভা, সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং কিশোর অপরাধ রোধে বিশেষ প্রচার চালানো হয়েছে, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
আমরা যারা সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করি, তাদের উচিৎ এই ধরনের নেতৃত্বকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা। একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল সমাজ গড়তে হলে আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগের পাশাপাশি, আফতার উদ্দিনের মতো আদর্শ নেতৃত্বের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।